স্নেহেন্দু বিকাশ-পাইকগাছায় মুক্তিপন দাবী করে কলেজ ছাত্র আমিনুর রহমান (২০) কে হত্যা করে কপোতাক্ষ নদে লাশ ফেলে দিল অপহরনকারীরা। মুক্তিপনের টাকা দেওয়ার সময় পুলিশ অপহরণ চক্রের হোতা ফয়সাল সরদার ( ২২):কে আটক করেছেন। এ সময় টাকা মোবাইল সহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়। সোমবার বিকেলে শিবসা ব্রীজেন অপর প্রান্ত বালুর মাঠ থেকে ফয়সালকে গ্রেফতারের পর নদের চরে তার দেখানো রক্ত ও অন্যান্য তথ্য মতে ওসি জিয়াউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আগরঘাটা বাজাস্থ কপোতাক্ষ নদে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশের সন্ধ্যান মেলেনি। জানাগেছে, নিহত আমিনুল শ্যামনগর (আগড়ঘাটার) ব্যবসায়ী ছুরমান গাজীর ছেলে। আর ঘাতক ফয়সাল গদাইপুর গ্রামের কর্মকার পাড়ার জিল্লা সরদারের ছেলে। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা মুক্তিপন ও এ হত্যাকান্ডের সাথে বড় একটি চক্রের হাত রয়েছে।
কপিলমুনি কলেজের এইচ এসসির ১ বর্ষের ছাত্র আমিনুলের পিতা ছুরমান গাজী বলেন,রোববার রাত ৯ টার দিকে আগড়ঘাটা বাজার থেকে ফয়সাল সহ একটি চক্র আমিনরকে অপহরণ করে। ঐদিন রাত ১০ টার দিকে আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে ফযসাল আমার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এ টাকা পৌরসভার মাছ কাঁটার পাশ্বে শিবসা ব্রীজের অপর প্রান্ত বালুর মাঠ আনতে বলেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনাটি থানা পুলিশ জানানো হয়। ফয়সালের দাবী মতে ব্যবসায়ী ছুরমান সোমবার দুপুর ১ টার দিকে টাকা নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায়। ফয়সাল টাকা নিয়ে চলে যাবার মুহুর্তে ছদ্দবেশি পুলিশ ও জনতা তাকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে। পুলিশী জিঞ্জাসাবাদে ফয়সাল মুক্তিপন ও হত্যাকান্ড সম্পর্কে সব কিছু খুলে বলেন। সোমবার সন্ধ্যায় কপোতাক্ষ নদ থেকে লাশ উদ্ধার চেষ্টা কালে ওসি জিয়াউর রহমান জানান,মুক্তিপনের টাকা, মোবাইল সহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার সহ আটক ফয়সাল প্রাথমিক ভবে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি।
0 coment rios: