Sunday 5 December 2021

খড়িয়া মিনাজ বাজারের নিঁখোজ ব্যবসায়ী বিধান মন্ডলের সন্ধান মিলেছে : বিধানকে পরিবারের হস্তান্তর করেন চেয়ারম্যান তুহিন

 

অবশেষ খড়িয়া মিনাজ বাজারের নিঁখোজ ব্যবসায়ী বিধান মন্ডলের সন্ধান মিলেছে : বিধানকে পরিবারের হস্তান্তর করেন চেয়ারম্যান তুহিন

পিসিমন্ডল,পাইকগাছা ৷ অবশেষ পাইকগাছা উপজেলার লস্করে খড়িয়া মিনাজ বাজারের নিঁখোজ ব্যবসায়ী বিধান মন্ডলের সন্ধান মিলেছে৷ রবিবার রাতে বিধানের পরিবারের কাছে বিধানকে হস্তান্তর করেন লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান তুহিন৷ দোকানদার বিধান চন্দ্র মন্ডল গত ১৪ই সেপ্টেম্বর হালখাতার পর ঋণের দায়ে নিজেকে আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। 

কিন্তু যশোরে পৌঁছার পর তার সবকিছু ছিনতাই হয়ে যায়। সেখান থেকে সে কোন রকমে ঢাকায় চলে যায় ৷ সেখানে একটি বাড়ীতে আত্মগোপনে থেকে সে ৩০/৪০ হাজার টাকা উপার্জন করে কিন্তু তারা তাকে টাকা না দিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায় ঐ বাড়ীর একটি মোবাইল নম্বর থেকে সে লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন এর কাছে ফোন করে৷ বিষয়টি নিয়ে পাইকগাছা থানার ওসি এবং লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঐ বাড়ীওয়ালার সাথে বারবার যোগাযোগ করতে থাকেন কিন্তু তাদের কাছে বিধান থাকার কথা অস্বীকার করতে থাকে।

 একপর্যায় ওসি এবং চেয়ারম্যানের চাপ প্রয়োগের ফলে তারা বিধানকে হস্তান্তর করতে সম্মত হয়। সে অনুযায়ী আজ ৫ই ডিসেম্বর রোজ রবিবার তারা বিধান কে চুকনগরে এনে লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করে। জানাগেছে, ঐ বাড়ীওয়ালার দেশের বাড়ী রংপুরে।

 এদিকে বিধান নিঁখোজ হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে সে সময়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। মিনাজ বাজারের সকল দোকানদারগণ দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কের মধ্যে ছিল।

 এমনকি তারা প্রায়ই চেয়ারম্যান তুহিন কাগজীর কাছে বিধানের সন্ধানের অগ্রগতির কথা জানতে চাইতো। বিধানকে হাতে পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সন্ধ্যায় মুঠোফোনে মিনাজ বাজারের সমস্ত দোকানদারদের বাজারে থাকতে বলেন এবং তাদের উপস্থিতিতে তার ভাই তারক চন্দ্র মন্ডলের হাতে বিধান কে হস্তান্তর করেন।

 লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন জানান, বিধান নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার মোবাইল নম্বর আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান জানতে পারি ৷

 সে ঢাকা গাজীপুরের জয়দেবপুরে আত্মগোপনে থাকতো৷ থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ওই বাড়িওয়ালা কে চাপ প্রয়োগ করলে তিনি চুকনগরে আমাদের কাছে বিধানকে হস্তান্তর করে ৷ পরবর্তীতে বিধানকে নিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি

৷ অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, বিধান পারিবারিক সমস্যা এবং ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মগোপনে ছিল পরে ইউপি চেয়ারম্যান তুহিন এবং থানার সাথে যোগাযোগ করে বাড়িতে চলে আসে৷ সে কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয় ৷

একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল তার পরিবার৷ তারা সেটা প্রত্যাহার করে নেবে৷

আরও পড়ুন:ঃ তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: