পাইকগাছা অফিসঃঃপাইকগাছা-কয়রা উপজেলা সহ তালা ও দাকোপ থানার কিছু অংশ নিয়ে প্রস্তাবিত সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন পরিষদ এর সদস্য সচীব শেখ সাদেকুজ্জান লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, ১৯৮২ সালে কয়রা- পাইকগাছা ও পার্শ্ববর্তী তালা, আশাশুনি ও দাকোপ থানার আংশিক এলাকা নিয়ে সুন্দরবন জেলা ঘোষনা দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার। কালের বিবর্তনে আজ ৩৮ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
দেশের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার আয়তন ৬৮৪.৩৫ বর্গমাইল, মানিকগঞ্জ- ১৩৭৮.৯৯ ও পঞ্চগড় জেলার আয়তন ১৪০৪.৬২ বর্গমাইল। অথচ খুলনা সদর থেকে পাইকগাছার দুরত্ব ৬৮.০১ কিঃ মিঃ, কয়রা ১২০ কিঃ মিটারের দুরত্বে ৮৫০ বর্গ মাইল আয়তনের পাইকগাছা-কয়রা উপজেলা কেন জেলা হবে না? রাজস্ব আয়ের উৎস নিসেবে আছে সুন্দরবন ও হিমায়িত রপ্তানি পণ্য সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ী।
একারণে সুন্দরবন জেলার যৌক্তিক দাবীতে সংবাদ সম্মেলনের আগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকরা এ অন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। আহবায়ক এ্যাড. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে ছাত্রনেতা এস এম রফিকুল ইসলামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ জি এ সবুর।
উপস্থিত ছিলেন, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড. এফ এমএ রাজ্জাক, খন্দকার হারুণ অর রশিদ, আসলাম পারভেজ, শেখ বেনজির আহম্মেদ লাল, হাবিবুর রহমান মোল্যা, ইব্রাহীম গাজী, শহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ সহ অনেকে।
0 coment rios: