পাইকগাছার গড়ইখালী ইউপি'র ঘোষখালী নদী ঘেষা কুমখালীতে ৩০ বছরের বিরোধপুর্ন শ্মশানের জমি উন্মক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম,আব্দুস ছালাম কেরুর ঐকান্তিক চেষ্টায় বিবাদমান দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনান্তে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটায় শনিবার দুপুরে ঘেরা-বেড়া উচ্ছেদ করে শ্মশানের জায়গা উন্মমুক্ত করা হয়।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান, প্যানেল চেয়ারম্যান মুক্তিডোদ্ধা শরৎ চন্দ্র মন্ডল সহ ইউপি সদস্য আয়ুব আলী সরদার,গাউসুর রহমান ১ম পক্ষ দেবব্রত বাছাড় ও ২য়পক্ষ রমেশ বৈদ্য সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে, শত বছরের উর্ধে কুমখালীস্থ চলাচল রাস্তার পাশ্বে ঘোষখালী (বদ্ধ) নদীর পাড়ে মহা শ্মশান গড়ে উঠে। কিন্তু দীর্ঘদিন পর দাকোপ থানার কালাবাঘী থেকে রমেশ বৈদ্য শ্মশান ঘাট লাগোয়া জমি ক্রয় করে বসতি গড়ে তুললে স্থানীয় দেবব্রত বাছাড় দিংদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত রমেশ বৈদ্য শ্মশান ঘাট ঘেরা-বেড়া দিয়ে দিলে বিরোধ বড় আকারে পৌছায়।
এ নিয়ে ইতোপূর্বে স্থানীয় ভাবে বহুবার মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও সেটা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ দেবব্রত বাছাড় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ ও থানায় জিডি করলে পত্র-পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হলে ইউপি চেয়ারম্যান আবারো মিমাংসার উদ্যোগ গ্রহন করেন। এ সম্পর্কে স্থানীয় ইউপি সদস্য আয়ুব আলী ও দেবব্রত বাছাড় সহ এলাকার মানুষ দীর্ঘদিনের শ্মশান ইস্যু'র সমাধান হওয়ায় গড়ইখালী চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম,আব্দুস ছালাম কেরু বলেন, ১ম ও ২য় পক্ষের মধ্য আলোচনা সহ স্থানীয়দের মতামত নিয়ে শ্মশান ঘাট উন্মক্ত করে দু'পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করা হয়েছে।
0 coment rios: