প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, এই ম্যুরালের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জাতির পিতাকে জানতে পারবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ বাঙালির হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারবে না।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজেশ কুমার রায়না। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান, খুলনা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন ও জেলা পরিষদের সচিব বিষ্ণুপদ পাল। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মল্লিক সুধাংশু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্রনাথ মল্লিক ও শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন নবনির্বাচিত সভাপতি সুনীল কুমার বালা। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মুজিব শতবর্ষ ও আজাদিকা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে খুলনা ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের উদ্যোগে বিদ্যালয় চত্বরে ১০০টি বৃক্ষরোপণ করা হয়। পরে অতিথিবৃন্দ মাইকেল মধুসূদন একাডেমির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষারআলো বিস্তারে অগ্রণী ভুমিকা পালন করছে। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয় চত্বরে নির্মিত জাতির পিতার ঐতিহাসিক ম্যুরাল, গণহত্যার স্মৃতিফলক, শহীদ মিনার ও মুক্তমঞ্চ বিদ্যালয়টিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত করেছে।
0 coment rios: