Tuesday, 15 February 2022

পাইকগাছায় ভিকটিম উদ্ধার প্রেমিক সহ পিতা-মাতার বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা

পাইকগাছায় ভিকটিম উদ্ধার প্রেমিক সহ পিতা-মাতার বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা

পি,সি,মন্ডলঃঃ পাইকগাছায় প্রেমিক-প্রেমিকা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ায় ভালোবাসা দিবসে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ প্রেমিক ও তার মা-বাবাকে আটক করেছেন। এ ঘটনায় আটক প্রেমিক ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে থানায় অপরহণ মামলা করেছেন স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা উপজেলার কাঠিপাড়ার উদয় কুমার দাশ। আটককৃতদের মঙ্গলবার সকালে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালস্থ ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে পাঠানো হয়।

থানায় মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী আত্মীয়তার সূত্র ধরে বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়া গ্রামের সুজিত বিশ্বাসের কলেজপড়ুযা ছেলে মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বামের সাথে কাঠিপাড়ার এ স্কুল শিক্ষার্থীর সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তা প্রেমে গড়ায়। সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ দিন পূর্বে দু'শিক্ষার্থী আজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। কলেজ ছাত্রের মা-রীনা বিশ্বাস জানান, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বারোআড়িয়া ক্যাম্প পুলিশের সহয়তায় স্কূল শিক্ষার্থীকে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করি। 

এর ক'দিন যেতে না যেতেই দুই শিক্ষার্থী বাড়ী থেকে আবারোও পালিয়ে যায়। এদিকে অনুপায় হয়ে শেষ পর্যন্ত কণ্যার পিতা থানার দ্বারস্থ হন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ১৪ ফ্রেঃ সোমবার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলেজ ছাত্রের মা-রীনা বিশ্বাস ও বাবা সুজিত বিশ্বাসকে থানা হেফাজতে আনেন। এরপর বটিয়াঘাটার কৃষ্ণনগর থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার পূর্বক প্রেমিক মৃত্যুঞ্জয়কে পুলিশের এসআই মোঃ আছাদুজ্জামান  আটক করেন। 

এদিকে  অপ্রাপ্ত মেয়েকে অপহরণ ও এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগে বাবা উদয় কুমার দাশ বাদী হয়ে  কলেজ ছাত্র মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, তার মা-বাবা ও সহযোগিতা করায় প্রতিবেশি ১জনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেছেন, যার নং-৬। 

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ আছাদুজ্জামান এবং থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে আটককৃতদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনী ২০০৩ ধারায় পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতের মাধ্যমে জেল হাজতে  এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: