পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল:টোকাইয়ের প্রেম, পালিয়ে বিবাহ। অবশেষে গৃহবধুঁর আত্মহত্যা। ঘটনাটি ঘটেছে পাইকগাছা পৌরসদরে।জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার লড়ায়ে ভিন জেলায় পাড়ি। জায়গাটির নাম ফকিরহাট থানার শ্যামবাগাদ গ্রাম। সেখানে টোকাইয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত শিহাব। সে ঐগ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত বাড়িতে ভাড়া থাকত। ভাড়া থাকাকালে সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে আঁখি'র সাথে প্রেম, প্রণয়। মেয়ের পিতার আর্থিক অবস্থা ভালো।
অন্যদিকে ছেলে টোকাইয় বলে পিতার আপত্তিতে এক সময়ে আঁখি বিষ খায়। অতঃপর ৩মাস পরপালিয়ে বিবাহ। বসবাস করত পাইকগাছার পৌরসদরের বাতিখালী গ্রামের ওয়াবদার পাশে পুরাতন গোডাউনের জায়গায়। এখানে শিহাব গাজী শ্রমিকের কাজ করতো।
শত কষ্টের মধ্যেও তাদের মেলবন্ধন অটুক ছিল।সোমবার রাতে খাওয়ার সময়ে ভাত নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে দাম্পত্যকলহ হয়। অভিমানে ভোর রাতে কোন এক সময়ে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আঁখি'র আত্মহত্যা। সকালে পাশে স্ত্রীকে না পেয়ে খাট থেকে উঠে স্ত্রী'র এদৃশ্য দেখে স্বামী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় সে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে শিহাব কে নামায়।
তাঁর আত্মহত্যার চেষ্টা সফল হয়নি। এসকল কথা গুলো তাদের দু'পবিবারের লোক ও থানার তথ্যসূত্র থেকে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে মামলার তদন্তকরী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আসাদ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম ও ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান।
আঁখি পৌর সদরের পুরাতন গোডাউন এলাকায় বসবাসরত গাড়ী শ্রমিক শিহাব গাজীর স্ত্রী। স্ত্রীর মৃত্যুতে স্বামী গলায় রশি দিয়ে আত্ম হত্যার চেষ্টা চালায় বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
মৃতের স্বামী শিহাব গাজী জানায়, সোমবার গাড়ী ডিউটি করে রাত ১০ টার দিকে বাড়িতে আসি। আমার স্ত্রী ওই রাতেই তার পিতার বাড়ি বাগেরহাট কাঁটাখালী এলাকায় নিতে হবে বলে বায়না করে। আমি তাকে বললাম সকালে নিয়ে যাবো। সে আমার কথা না শুনে ঝগড়া শুরু করে। এক পর্যায় আমাদের কাবিন আমার স্ত্রী আঁখি ছিঁড়ে দেয়। পরের অংশ আমি ছিঁড়ে ফেলি।
রাত ১২ টার দিকে আমি শুয়ে পড়ি সে আমার পাশে শুয়ে পড়ে। কখন আমার পাশ থেকে উঠে তার ওরনা পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লগিয়ে মৃত্যবরণ করেছে আমি জানি না। আমি ভোর ৫ টার দিকে উঠে দেখি সে আমার পাশে নেই। তখন দেখি ঘরে আড়ার সাথে ঝুলে রয়েছে।
সে সময় আমিও গলায় রশি দিয়ে আড়ার সাথে ঝুলে পড়ি। আমার নানীর ডাক চিৎকারে এলাকার মানুষ আমাকে নামায়। নানী সুপিয়া বেগম (৬৫) জানান, তারা নিজেরাই মোবাইলের সূত্র ধরে গত ৩ মাস আগে বিয়ে করে। তারা ভালোভাবে চলছিলো হঠাৎ কি নিয়ে তারা এ ঘটনা ঘটালো তা বুঝতে পারছি না। থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মামলা নং ১৭। এব্যাপারে মৃতের পিতা-মাতার কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের কাছে লাশ হস্তন্তর করা হয়েছে।
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: