স্নেহেন্দু বিকাশ-পাইকগাছার গজালিয়াতে মারপিটে চৌকিদার দম্পতি সহ ৫ জনকে আহতের মামলায় আসামীরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাদী চৌকিদারের চাকুরী খোয়ানোর হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ । মামলার বাদী গ্রামপুলিশ আজিজ সানা অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ রুহুল আমিন গাজী দিংরা উপায় না পেয়ে মাদক ও জুয়াড়ীদের সাথে আমার যোগসুত্রের মিথ্যা কাহিনি করে আমার পুকুর দখল চেষ্টা এমনকি চাকুরী খোয়ানোর হুমকি দিচ্ছেন।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চৌকিদার স্ত্রী সুফিয়া সহ আহতরা বাড়ীতে ফিরলেও এখনো তারা পুরোপুরি ভাবে সুস্থ্যু হয়ে উঠেনি বলে পারিবারিক ভাবে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সুত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল সকালে উপজেলার চাঁদখালীর পুর্ব গজালিয়াতে গ্রাম পুলিশ আঃ আজিজ সানা পরিবার ও রুহুল আমিন গাজী পরিবারের মধ্যে জমির বিরোধের জেরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে গ্রাম পুলিশ আজিজ-সুফিয়া দম্পতি সহ একই পরিবারের মোস্তাক মিস্ত্রী,আঃ শিকারীর স্ত্রী পারভিন রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ রুহুল আমিন গাজীরা কমবেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ঐ দিন আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে সুফিযা সহ আহতদের খুমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ভিটেবাড়ী সংলগ্ন পুকুর সহ ৩০ শতক খাস বন্দোবস্ত জমির স্বত্ত্ব নিয়ে গ্রাম পুলিশ আঃ আজিজ ও মৃতঃ সুলতান গাজীর ছেলে রুহুল আমিন গাজী দিংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে ও থানায় বসাবসি হলেও মিমাংসা হয়নি। সর্বশেষ থানা পুলিশ যার-যার অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেন।
চৌকিদার আঃ আজিজ সানা পুকুরটি দখলে থাকার কথা বলে জানান, ঘটনার দিন শনিবার ভোরে আমার নাতে শিশু রায়হান পুকুরে ভাসমান অবস্থায় প্রায় ১ কেজি ওজনের ১ টি মৃত গ্লাসকাপ মাছ বাড়িতে আনেন। পরে এ মাছ নিয়ে দু'পক্ষ ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। চোকিদারের স্ত্রী সুফিয়া অভিযোগ করেন, তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে রুহুল আমিন তার স্ত্রী ও ছেলে ফারুকগাজী ও বাবু সহ ৪/৫ জন দা,লাঠিসোঁটা দিয়ে মারপিট করে স্বামী আঃ আজিজ,পরভিন,মোস্তাক সহ আমার মাঁথা ফাটিত রক্তাক্ত জখম করে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় দু'পক্ষই থানায পাল্টা-পাল্টি মামলা করেন।
চৌকিদার আঃ আজিজের দায়ের করা মামলায় পুলিশ রুহুল আমিন গাজী ও তার ছেলে ফারুককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠায়। দু'টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইমরান হোসেন বলেন,১ টি মামলার চার্জসিটের প্রস্তুতি চলছে এবং অন্যটি ফাইনাল রিপোর্টের অপেক্ষায়।
তিনি আরোও বলেন,গ্রাম পুলিশ আজিজ পরিবার আহতদের ডাক্তারী সার্টিফিকেট দিলেও রুহুল আমিন পরিবার মারপিটের উপযুক্ত প্রমান ও ডাক্তারী সনদ দেখাতে পারেননি।
0 coment rios: