Saturday, 5 November 2022

পাইকগাছায় ভাংচুর ও মারপিটের অভিযোগে পিতার মামলায় ছেলে জেল-হাজতে

পাইকগাছায় ভাংচুর ও মারপিটের অভিযোগে পিতার মামলায় ছেলে জেল-হাজতে

স্নেহেন্দু বিকাশ,  পাইকগাছায় ভাংচুর ও মারপিটে পিতা-পুত্রকে জখম করার ঘটনায় পিতা শহিদুল সরদারের দায়ের করা মামলায় ছেলে সাঈদ (৩৫) জেল হাজতে। শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইমরান হোসেন মামলার আসামী সাঈদ সরদার ও তার শ্যালক লাদেন সরদারকে গ্রেপ্তার করে আদালত প্রেরন করেন।৷ এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাঁদখালী ইউপির কানুয়ারডাঙ্গায়। 

এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সাঈদ  বিদেশ থেকে দেশে ফিরে  পরিবারের সম্মতি ছাড়া বিয়ে করার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। 

থানায় মামলা ও স্থানীয় সুত্র জানিয়েছেন, শহিদুল সরদারের অর্থায়নে  বড় ছেলে সাঈদ প্রায় ৮ বছর পুর্বে বিদেশে যায়। বিদেশে থাকাবস্থায় ফেসবুকে স্থানীয় এক নারীর সাথে পরিচয় ঘটে। এক সময় দু'পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। এ সম্পর্কের জেরে সাঈদের সাথে তার পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তার পরিবারের  অভিযোগ ছেলে সম্প্রতি দেশে ফিরে পরিবারের সম্মতি ছাড়া ঐ নারীকে বিয়ে করে স্থানীয়  বাসিন্দা শ্বশুর হাফিজুল সরদারের  বাড়িতে উঠে। 

এ দিকে গত ৩০ অক্টোবর শহিদুল সরদারের মা'র মৃত্যুতে মিলাদের আলোচনার জন্য ১ নভেম্বর বাড়িতে বসাবসি করেন। এ সময় শ্বশুর ও নিকটাত্মীয়দের নিয়ে সাঈদ বাড়ীতে আসলে তর্ক-বিতর্ক ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ঘটে। শহিদুল সরদার অভিযোগ করেন ঘটনার এক পর্যায়ে বেআইনী ভাবে  হাফিজুের নেতৃত্ব বাড়ীর আসবাস পত্র ভাংচুর তছনছ করে ক্ষয়ক্ষতি করেন।  বাঁধা দিলে তারা লাঠিসোটা সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ব্যাপক মারপিট করেন। 

এতে শহিদুলের পা সহ ছেলে জাহিদুলের মাথা ফেঁটে রক্তাক্ত জখম হয়। ঠেকাতে গিয়ে বৌমা আছমাও আহত হন। প্রথমে আহত বাপ-ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে জাহিদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা-২৫০ শর্যা হাসপাতালে ভর্তি করা করা হয়। এ ঘটনায় শহিদুল সরদার বাদী হয়ে ছেলে সাঈদ দম্পতি, শ্বশুর হাফিজুল সরদার,শ্যালক লাদেন সরদার, আশরাফুল, হামিদ সরদার সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন,যার নং-৪। 

ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান জানান,  এ মামলার আসামী সাঈদ ও তার শ্যালক লাদেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: