Tuesday, 8 August 2023

অপসারণ করা হচ্ছে পাইকগাছার ঘোষখালী নদীর কচুরীপানা

অপসারণ করা হচ্ছে পাইকগাছার ঘোষখালী নদীর কচুরীপানা

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী ঘোষখালী নদীর কচুরীপানা অপসারণ কাজ চলমান রয়েছে। ভাটার মাধ্যমে ¯øুইচ গেট দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কচুরীপানা শিবসা নদীতে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এ কাজে প্রতিদিন ২০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে। নিয়মিত অপসারণ কাজ তদারকি করছেন ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু। 

অপসারণ কাজ শেষ হলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং আমন চাষাবাদ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান সহ এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী ঘোষখালী নদীটি উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। ইউনিয়নের শিবসা নদীর শান্তা ¯øুইচ গেট থেকে নদীটি শুরু হয়ে কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের মসজিদকুঁড় পর্যন্ত নদীটি বিস্তৃত রয়েছে। এ নদীর পানি দিয়ে একদিকে যেমন রবি ফসল উৎপাদন সহ তেমনি পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে পাইকগাছার গড়ইখালী, লস্কর, চাঁদখালী ও কয়রার মহেশ^রীপুর এবং আমাদী ইউনিয়নের হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমির আমন ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে নদীটি কচুরীপানায় ভরে যায়। 

এ সময় অনেকে লবণ পানি তুলে কচুরীপানা মারার কথা বললেও পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে ওই সময় লবণ পানি উত্তোলন না করে বিকল্প ব্যবস্থায় কচুরীপানা অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী। অবশেষে ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত¡াবধায়নে শ্রমিক দিয়ে কচুরীপানা কেটে খন্ড খন্ড করে ¯øুইচ গেট দিয়ে নদীতে বের করে দেওয়া হচ্ছে। গত ১৫ দিন যাবৎ প্রতিদিন ২০ জন শ্রমিক এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কচুরীপানা অপসারণ করার ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু। 

এর ফলে আমন ফসলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন হোগলারচক গ্রামের কৃষক স্বপন মন্ডল ও কুমখালী গ্রামের কৃষক তুষার কান্তি। ইউনিয়নের কোথাও কোন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য যমুনা রানী বৈদ্য। ইউনিয়ন পরিষদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: