Saturday, 27 November 2021

কাঁদছে শিবসা, কাঁদছে কপোতাক্ষ, নাই দেখার কেউ

কাঁদছে শিবসা, কাঁদছে কপোতাক্ষ, নাই দেখার কেউ
                                কাঁদছে শিবসা, কাঁদছে কপোতাক্ষ, নাই দেখার কেউ

 নিউজ ডেস্ক|:  হিমালয় এর ভাটিতার অবস্থার কারনে এদেশের উপর দিয়ে বয়ে গেছে শতশত নদ-নদী। যার মধ্যে শিবসা ও কপোতাক্ষ দুইটি নাম। আজ তা মরতে বসেছে। তাই এই নদীকে বাঁচানো আমাদের একান্ত দায়িত্ব। বিগত দিনে এই শিবসা ও কপোতাক্ষ'র ছিল ভরা যৌবন। বিগত দিনে এই শিবসা ও কপোতাক্ষের গর্জন যারা শুনেছে ও দেখেছে তাদের পক্ষে বর্তমান এ করুণ দৃশ্য দেখে চোখের জল সংবরণ করা দায় হবে। আর এখন বর্তমান শুধু চোখের জল মুছলে আর লাভ হবে না। এর জন্য চাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে চিৎকার করে বলতে হবে নদীকে বাঁচাও শিবসা ও কপোতাক্ষকে বাঁচাও। মাকে যদি বাঁচাতে চাও, শিবসা ও কপোতাক্ষকে বাঁচাও। তাকে বাঁচাতে হলে তাকে ধর, তাকে চিকিৎসা কর। তাকে চিকিৎসা করতেই হবে।
নদীর চিকিসা হলো ড্রেজিং বা খনন ও দখল মুক্ত করা।



এই কাজটা যতো দ্রুত শুরু করা যাবে ততই মঙ্গল হবে। ইতিমধ্যে আমরা অনেক কালক্ষেপন করে ফেলেছি। আরও অনেক আগে আমাদের এই কাজটি করা প্রয়োজন ছিল। আমরা সেটা পারিনি বলেই আজ শিবসা ও কপোতাক্ষ মৃত্যুপথযাত্রী। এই মরা নদীর নীরব কান্না যারা শুনতে পান তারা সব সময় অস্থির থাকেন। তারা বলেন নদীই আমার মা নদীই আমার ভাই, বন্ধু আপনজন তাকে বাঁচাতে হবে। নদী আমার কাঁদতে শিখিয়েছে। নদী আমার বেড়ে উঠার প্রেরণা। তারই আদর স্নেহে বড় হয়েছি। নদী খাল-বিল সবই বাংলার প্রকৃতি, মোদের চিরচেনা, হাজারো পাখির কলরব যাদের ঘিরে সে আজ মরতে বসেছে। এইভাবে তাকে মরতে দেওয়া যায় না। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে নদীর ধারে যাই, যার যেখানে সুযোগ সে সেখানে দাঁড়াই তবে একা নয়, ছেলে-মেয়ে পরিবার-পরিজনকে সাথে নিয়ে। নদীর ধারে গিয়ে শিবসা ও কপোতাক্ষের পুরানো ইতিহাস শুনাই। শিবসা ও কপোতাক্ষ নদীর ভরা যৌবন কেমন ছিল ও নদীর স্রোতধারা, নৌকাডুবি ঘটনা, নদীর গভীরতা, নদী ভাঙ্গন এসবের কথা শুনাই। তবেই তাদের মনে শিবসা ও কপোতাক্ষ নদীর মায়া-মমতা জাগবে। তাকে আপন বলে মনে করবে। তারাই নদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবে। কেন এমন হলো? কারা এর জন্য দায়ী? কোথায় এর প্রতিকার পাওয়া যাবে? তা খুঁজতে শুরু করবে। তবে আমরা যদি এইটুকু করতে পারি তবেই হতে পারে নদী বাঁচানোর জন্য একটু হলেও শান্তনা। (ছবিটি পাইকগাছা কড়ুলিয়া খেয়া ঘাট থেকে তোলা।).

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: