মোঃফয়সাল হোসেন খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪ ডিসেম্বর খুলনার কয়রা উপজেলার শাকবাড়ীয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে হরিহরপুর গ্রামে পানি লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে করে ঐ এলাকার গাঁতিরঘেরি ও হরিহরপুর গ্রামের প্রায় ২’শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ২৬ মে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে হরিহরপুর গ্রামের ঐ স্থান ভেঙ্গে প্লাবিত হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে কর্মরত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জিও টিউবে বালু ভরে পানি মুক্ত করে। কিন্তু মাটির কাজ না করায় ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়ীয়া নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে আবারও বাঁধ ভেঙ্গে হরিহরপুর ও গাঁতিরঘের দুইটা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ঐ এলাকার বাসিন্দা ধীরেস মাহত বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্রায় সাত মাস শাকবাড়ীয়া নদীর পানিতে তলিয়ে থাকি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সপ্তাহ খানিক আগে জিও টিউবে বালু ভরে পানি মুক্ত করেন। কিন্তু পরবর্তীতে আর মাটির কাজ না করায় আবারও জাওয়াদের প্রভাবে জলোচ্ছাসে ঐ স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে।
মেম্বর হরষিত কুমার মন্ডল বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দায়সারা ভাবে কাজ করে কোন রকমে সপ্তাহ খানিক আগে পানিমুক্ত করলেও মাটির কাজ না করায় শনিবার রাতে আবারও প্লাবিত হয়ে হরিহরপুর ও গাঁতিরঘের গ্রাম প্লাবিত হয়।
মেসার্স জিয়াউর ট্রেডার্সের প্রতিনিধি বাদশা মিয়া এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সঠিক ভাবে কাজ করেছি। তবে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গন কবলিত স্থানের জিও টিউবের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ওই স্থান আবারও ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে। আশা করি আগামীকাল থেকে আবার কাজ শুরু করবো। ২/৪ দিনের মধ্যে পানি মুক্ত করতে পারবো।
সাতক্ষীরানের -২ সহকারী প্রকৌশলী এস এম মশিউল আবেদীন জানান, মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স ঐ স্থানে সম্প্রতি জিও টিউবে বালু দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করেছে।
কিন্তু মাটির কাজ করার আগে, কপোতাক্ষ নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জিও ব্যাগের নিচ থেকে মাটি সরে যেয়ে আবারও প্লাবিত হয়েছে। তবে অল্প কিছু দিনের মধ্যে ঐ স্থানে কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ফলে হরিহরপুর ও গাঁতিরঘের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: