Wednesday, 8 December 2021

কপিলমুনিতে বাসের চাকায় দুমড়ে মুচড়ে দিল জাহাঙ্গীরের বেঁচে থাকার স্বপ্ন

 

কপিলমুনিতে বাসের চাকায় দুমড়ে মুচড়ে দিল জাহাঙ্গীরের বেঁচে থাকার স্বপ্ন


কপিলমুনিতে বাসের চাকায় দুমড়ে মুচড়ে দিল জাহাঙ্গীরের বেঁচে থাকার স্বপ্ন ফের স্বপ্নভঙ্গ হলো তিন শিশুকে নিয়ে ভ্যানেই বসবাসকারী জাহাঙ্গীরের। 

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার কপিলমুনি বেদ মন্দিরের সামনে একটি বাস শিশুদেরবাহী ভ্যানটিকে পাশ কাটিয়ে ওঠার সময় চাপা দিলে ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অসহায় জাহাঙ্গীর সরদারের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মদনপুর গ্রামে। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তাদের জন্মের পর থেকে ভ্যানে করেই জীবন কাটাচ্ছেন। 

তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ের বয়স ৮ বছর। আর ছোট এক ছেলে ও এক মেয়ের বয়স ৬। 

তাদের জমজ দু’ভাই-বোনকে জন্ম দিতে গিয়ে তাদের মায়ের মৃত্যু হয়। এরপর ভূমিহীন ও গৃহহীন জাহাঙ্গীর সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আর দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। 

নিজের কোনো ঘর বা জমি না থাকায় সেই থেকেই ভ্যানে সন্তানদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করেই চলে জীবিকা।

ঝড় বৃষ্টির উপেক্ষা করে এভাবে  ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে যেখানেই রাত হয় সেখানেই কোনো ভ্যানে ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে দেন তারা।ভ্যানে ছাউনি টানিয়ে ভেতরেই রয়েছে কাপড়-চোপড়সহ সংসারের টুকি টাকি জিনিসসপত্র।

নিজের কোনো জমি বা কোন ঘর না থাকায়,কোনভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে সাবেক তালা উপজেলার ইউএনও’র দফতরে মুজিব শতবর্ষের একটা ঘরের জন্য বারবার ধর্ণা দিয়েও ফল হয়নি। তবে তাতেও আক্ষেপ নেই তার।

 সকলের সাহায্য-সহযোগিতায় এখনো যে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছেন এতেই আল্লাহর দরবারে লাখো-কোটি শুকরিয়া তার।

তবে সর্বশেষ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বাসচাপায় চারটি প্রাণের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বনটুকু দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ায় মাঝপথে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তাদের। 

যদিও বাস কর্তৃক্ষ তার ভ্যাটিকে মেরামতের জন্য ১৫০ টাকা আর মালামালের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৯০ টাকা দিয়েছেন। যা দিয়ে কোনোভাবেই ভ্যানটিকে মেরামত সম্ভব না।

 তাই তিন তিনটি শিশুকে নিয়ে শীতের রাতে রাত্রি যাপনের দুশ্চিন্তা মারাত্মকভাবে ভর করেছে জাহাঙ্গীরকে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর মাথায় সংসারের ভাঙাচোরা তৈজস-পত্রের পুটলা ও ৩ শিশুকে সামনে রেখে এ প্রতিবেদককে জানান, তার কোনো স্বপ্ন নেই, তাই বেঁচে থাকার কোনো মানেও নেই তার। তবে অবুঝ শিশুদের চিন্তা করে অনেক দিন বেঁচে থাকতে চান তিনি। 

এজন্য আপাতত কেউ তাকে সামান্য সহযোগিতা করলে জীবনে গতি ফিরবে তাদের। 

এমন প্রত্যাশায় তাকে কেউ যদি সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করা যাবে তার ব্যবহৃত বিকাশ নম্বরে। সমাজের এমন। কেউ কি আছেন? 

অসহায় শিশুদের ন্যুনতম সাহায্য করতে? তার মোবাইল নম্বর ০১৩০৬-৬৭২১৭৪


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: