Monday, 10 January 2022

পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে কয়রার ত্রিপল মার্ডার এর আসামী আটক।

পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে কয়রার ত্রিপল মার্ডার এর আসামী আটক।


মোঃফয়সাল হোসেন খুলনা জেলা প্রতিনিধি।বিকৃত যৌনলালসা, প্র😯💭তারণামূলক আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়া সম্পর্কের জেরে কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামে ট্রিপল হত্যাকান্ডটি ঘটে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ট্রিপল হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি আব্দুর রশিদ গাজী। সে খুব চতুর। হত্যাকান্ডের পর থেকে সে পলাতক ছিলেন। টিম ওয়ার্ক ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে ৮ জানুয়ারি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা থেকে আটক করা হয়। হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আদালতে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক এ মামলা সাত জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

স্বীকারোক্তিতে রশিদ জানিয়েছে, মামলার অপর আসামি জিয়া ও মোসা: রাজিয়া সুলতানার অবৈধ সম্পর্কের বাধা প্রদানকারী হাবিবকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়। ওই দিন রাত ১২ টার দিকে জিয়া ও সামসুর এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হাবিব ও তার স্ত্রী বিউটি ও কন্যা টুনিকে হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে স্ত্রী ও কন্যাকে ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়। হত্যাকান্ডের সময় ছয় জন আসামি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। রশিদ গাজী খুবচতুর ব্যক্তি। একেক সময় একেক তথ্য উপাত্ত দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভিকটিম হাবিবুরের সাথে অন্যান্য আসামিদের সাথে আর্থিক লেনদেন ছিল। নিহত হাবিবুর আর্থিক প্রতারণারও স্বীকার হয়েছিলেন। হত্যাকান্ডের পর তাদের পানিতে ফেলে দেওয়ার কারণে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। মামলার অন্যান্য আসামিদের রিমান্ডে নেওয়াহয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৫ অক্টোবর রাত ৯টা থেকে পরেরদিন সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে তাদের হত্যা করা হয়। ২৬ অক্টোবর স্থানীয় আব্দুল মাজেদের বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী বিউটি ও কন্যা হাবিবা সুলতান টুনির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের মা কোহিনুর বেগম থানায় অজ্ঞাতনাম আসাসিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি ওই এলাকার রহস্যের সৃষ্টি হয়। আসামিদের আটক করতে পুলিশ ততপর হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার জিয়া, সুলতানা, নাঈম ও কিবরালকে আটক করে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: