জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে খুলনার পাইকগাছা-কয়রা উপজেলার নদ-নদীসমূহের নানাভাবে সংযোগ রয়েছে। ফলে সাগরের লবনাক্ত পানি সরাসরি পৌছে যায় উপজেলাগুলোর তৃণমূল পর্যায়ে। এতে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে কোনো প্রকল্পই সফলতার মুখ দেখেনি। তবে সর্বশেষ সরকারের এই নতুন প্রকল্প নতুন করে আশা জাগাচ্ছে জনপদের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে। অধিকাংশ এলাকায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে কয়রা-পাইকগাছার প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানান, অব্যাহত প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিপর্যস্থ এ অঞ্চলের মানুষ বছরের সিংহভাগ সময় নানা সংকটে অতিবাহিত করেন। বিশেষ করে নিরাপদ বেড়িবাঁধ ও সুপেয় পানির অভাব বরাবরই তাদের সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করে।যে সকল এলাকায় সরাসরি লবণ পানি পৌছায় না সেসব এলাকাতেও চিংড়ী চাষের নিমিত্তে কৃত্রিমভাবে ঢুকানো হয় লবণ পানি। এক দিকে লবণ পানির আধিক্য অন্যদিকে আর্সেনিকোসিস ও আয়রণের ধকল। যে সকল এলাকায় আয়রণ’র পরিমাণ কম সেখানে আর্সেনিকের পরিমাণ বেশি। আবার যে সকল লবণাক্ততার পরিমাণ বেশি সেখানে আর্সেনিকের পরিমাণ কম। এক কথায় উপকূলের এ অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘ দিনের।
এ ব্যাপারে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা)’র সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো:আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। গভীর নলকূপও এ অঞ্চলের অনেক জায়গায় কাজে আসে না, অগভীর নলকূপের পানিও পানযোগ্য নয়। সংকট নিরসনে বিশেষ সফলতাও আসেনি। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়।
সর্বশেষ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিটির সভায় উপকূলীয় পাইকগাছা-কয়রা উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট নিরসনে ৩৪.৭৯ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প’র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় উপজেলা দু’টিতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল এমপি, পরিকল্পনা মন্ত্রী, এলজিআরডি মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
0 coment rios: