![]() |
পাইকগাছায় চলাচর পথে ঘেরাবেড়া ৫পরিবার অবরুদ্ধ |
স্নেহেন্দু বিকাশ, পাইকগাছার পল্লিতে বাড়ির দু'দিকের চলাচল পথে ঘেরা-বেড়া দিয়ে মন্দিরসহ ৪টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ ক'জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার লতা ইউপি'র তেঁতুলতলা গ্রামে সরেজমিনে পৌছালে অবরুদ্ধ গৌবিন্দ, দেবাশীষ ঢালীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন নির্বাহী কোর্টের আদেশ অমান্য করে শনিবার দুপুরে বাড়ীর চলাচল পথে বাঁশের ঘেরা-বেড়া দেন যশোরে কর্মরত পুলিশ সদস্য সুকৃতি ঢালী ও তার পক্ষের লোকেরা। অভিযোগ উঠেছে ঘেরা-বেঁড়ার সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বিজন কুমার হালদার উপস্থিত ছিলেন। এদিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
থানার জিডি ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানাগেছে,লতা ইউপি'র তেঁতুলতলা মৌজায় এস,এ ৮০ নং খতিঃ ১৮ দাগ যা বর্তমান জরিপে বি,আর,এস ১২ দাগে স্থানীয় খোকন-পুলিশ সদস্য সুকৃতি ঢালী দিং ও গৌবিন্দ তুষার,বিনয় ও বাপ্পী ঢালী গংদের ৩৬ শতক বাস্তুভিটা জমি রয়েছে। এখানে রেকর্ডীয় মালিকরা ৬টি শরীক দীর্ঘদিন ধরে শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করছেন।
কিন্ত বি,আর,এস জরিপে ভিটেবাড়ীর এ জমি হিস্যানুযায়ী রেকর্ড না হওয়ায় পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে যাতাযাতের পথে। এক পর্যায়ে সুশান্ত-মঙ্গল ঢালী গংরা গোবিন্দ-দেবাশীষ ঢালী গংদের পথ বন্ধ করলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে থানা পুলিশ এমনকি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উর্থাপন হলে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অনুসন্ধানে জানাজায় স্থানীয় দলাদলীতে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন থাকায় পথ উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
শেষ পর্যন্ত পথ উন্মুক্ত'র জন্য গৌবিন্দ ঢালী বাদী হয়ে পাইকগাছার নির্বাহী আদালতে এম,আর- ২৫৮/২১নং মামলা করেন। মামলায় বিবাদী করা হয় একই শরীকের সুশান্ত ঢালী, মঙ্গল ঢালী খোকন ঢালী গংদের। শুনানীন্তে বিজ্ঞ আদালত গত ২৭-৭-২২ তারিখে বিবাদী সুশান্ত গংদের বিরুদ্ধে চলাচলে রাস্তায় কোন প্রকার বিঘ্ন না সৃষ্টি করার আদেশ দিয়ে তা নিশ্চিত করতে থানার ওসি'কে নির্দেশনা দেন। জানাগেছে,এর পর গৌবিন্দ-দেবাশীষ গংরা ঘেরা-বেড়া তুলে দিলে আরোও বিরোধ দেখা দেয়।
এদিকে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে শনিবার পুলিশ সদস্য সুকৃতি ঢালী লোকেরা বাড়ীর মন্দিরসহ রাস্তায় উঠার মুখে বাঁশের বেড়া দিলে ৫টি পরিবারের সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। অন্যদিকে রবিবার সকালে বাড়ীর দক্ষিন দিকে ৫ পরিবারের পথে নিজেদের জমি দাবি করে প্রতিবেশি খোকন বিশ্বাস গংরা ঘেরা-বেড়া দিয়েছেন। কিন্তু খোকন ঢালী গংদের অভিযোগ প্রতিপক্ষ দেবাশীষ গংরা দক্ষিণ দিকের পথে এ ঘেরা-বেড়া দিয়ে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন।
শরীকদের মধ্যে ভিটেবাড়ী জমি নিয়ে বিরোধের তথ্য দিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড্য সদস্য বিজন কুমার হালদার জানান, আমি শুধু জমি পরিমাপের সময় উপস্থিত ছিলাম। তবে পুলিশ সদস্য সুকৃতি ঢালী বলেন, নিজের জমিতে ঘেরা-বেড়া দিয়েছি স্থায়ী সমাধানের জন্য। পথের জন্য জিডি ও মামলা করে সমাধান হয়না এ মন্তব্য করে তিনি আরোও বলেন, উভয় পক্ষই আলোচনায় বসে বাপ-কাকাদের বিরোধ স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করব। কারোর চলাচল পথ বন্ধ করে আমানবিক কাজ করা যাবেনা এ মন্তব্য করে ওসি রফিকুল ইসলাম জানান,সমাধানে তৃতীয় পক্ষই অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে।
0 coment rios: