পাইকগাছার কপিলমুনিতে ডোবা থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার |
প্রতিনিধি পাইকগাছা: পাইকগাছায় কপিলমুনির একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাত যুবক (৩২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লশের সুরতহাল রিপোট শেষে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
পাইকগাছা থানার উপ- পুলিশ পরিদর্শক আসাদুল ইলাম জানান,উপজেলার সলুয়া গ্রামের নফেল মোড়লের ছেলে আছাদুল মোড়ল (৩৫) প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ ক্ষেতে পরিচর্যার জন্য যায়। এক পর্যায়ে ক্ষেতের পূর্ব পাশের ডোবায় উপুড় করা অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে প্রতিবেশীদের জানায়। এরপর প্রথমে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পৌনে ১১টার দিকে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল আলীম ও পরে ১২ টার দিকে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। এসময় উলঙ্গ লাশের গায়ে কালো গেঞ্জি ছিল। এসময় লাশের অদূরে পড়ে থাকা একটি জুতা, চানাচুর, বিস্কুট, শ্যাম্পু, পকেট টিস্যুর খালি প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে তা আলামত হিসেবে জব্দ করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ বা কারা তাকে পরিকল্পিতভাবে বাইরে থেকে সেখানে নিয়ে হত্যা শেষে লাশ ঐ ডোবায় ফেলে রেখে গেছে। জমি মালিক আছাদুল জানায়, আগের দিন শুক্রবারও (৫ নভেম্বর) সে ক্ষেতে গিয়ে কাজ করেছিল। তবে কোন লাশ দেখেনি। তবে ক্ষেতের একপাশে বেড়া ভাঙ্গা দেখে ঐদিনই সংষ্কার করে বাড়ি ফিরেছিল। ধারণা করা হচ্ছে মুল দরজা বন্ধ থাকায় ঐএলাকা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকা হয়। অথচ লাশটি উদ্ধারের সময় তা পঁচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। অর্থাৎ ধারণা করা হচ্ছে ২/৩ দিন আগে তাকে হত্যা করে সেখানে লাশ ফেলে রাখা হতে পারে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মো: কওছার আলী জোয়াদ্দার জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেছেন। এসময় তিনি আরো জানান, তিনি বা এলাকার কেউ লাশটি শনাক্ত করতে পারেনি। সর্বশেষ তাকে কে বা কারা এবং কি উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে এমনকি লাশের পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, লাশটি উদ্ধার করে সুরোতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন হয়েছে। শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
0 coment rios: