Friday, 25 February 2022

করোনা হলে যা খাবেন

করোনা  হলে যা যা  খাবেন

আমেনা জান্নাত নিপা:দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাসের সাথে আমাদের বসবাস। এ পর্যন্ত এই ভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন বহু মানুষ । করোনার সব শেষ ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’। এর লক্ষণ যাই হোক, করোনাকে পরাজিত করে বেঁচে থাকতে বাড়াতে হবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে তা সম্ভব।

শর্করার চাহিদা:করোনা সংক্রমণ হলে মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় বলে কিছুই খেতে ভালো লাগে না। এ সময় রোগীকে কম করে হলেও একটু একটু খেতে হবে। ডায়বেটিস রোগী থেকে সবাই শর্করা জাতীয় খাবারের প্রতি খেয়াল রাখুন। ডায়াবেটিস আছে আবার করোনা আক্রান্তও হয়েছে, এমন রোগীর রক্তে শর্করার অভাব দেখা দিলে ‘হাইপারগ্লাইসেমিয়া’ হতে পারে। তাই ভাত, রুটি কম খেলে ও প্রচুর শাকসবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন। এসব খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

আমিষের চাহিদা:আক্রান্ত ব্যক্তির প্রোটিনের চাহিদা তুলনামূলক বাড়াতে এ সময় প্রথম শ্রেণির প্রোটিন অর্থাৎ ডিম, মাছ, মাংস বেশি বেশি খেতে হবে। কিডনি জটিলতা না থাকলে প্রতিদিন ১০০-১৬০ গ্রাম প্রোটিন খান। এছাড়া পনির, দুধ, দই ও খেতে পারেন।

বেশি তেল নয়:যতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক তেলের ব্যবহার  করুন। অতিরিক্ত তেলে রান্না করা বা অতিরিক্ত ভাঁজা-পোড়া খাবার মোটেই খাবেন না।

পটাশিয়াম•  করোনা হলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। এ সমসয় রোগীর মানসিক প্রশান্তির জন্য পটাশিয়াম খুব দরকার। বিভিন্ন ফল যেমন : ডাব, কলা, সবুজ শাকসবজি, তেল বীজ, বাদাম ইত্যাদি থেকে পটাশিয়াম মিলবে।

ক্যালসিয়াম•  করোনা সংক্রমণ হলে একসময় রোগীর দেহে মারাত্বক ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয়। তাই খাবারে ডেইরি প্রোডাক্ট অবশ্যই রাখুন। এছাড়া আয়রণ, জিংক, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি ইত্যাদি মিলিয়ে খাদ্যতালিকা তৈরি করুন।

ফলমুল •  জ্বর থাকলে পানির চাহিদা বাড়তে থাকে, তাই শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হবে। এ সময় বেশি পানি পান করতে ভালো লাগে না। তাই ভিন্নতা আনতে প্রচুর তাজা ফল, ফলের রস, ডাবের পানি পান করুন।

  জ্বরের কারণে মুখের তিতা ভাব দূর করতে সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন লেবু, মালটা, কমলা বা এগুলোর জুস খান।

•  বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফল খেতে পারে। এগুলো শক্তি বাড়ায় ও শরীরকে হাইড্রেট রাখে।

উপকারী কিছু হারবাল •  করোনায় ফুসফুসের সংক্রমণ খুবই সাধারণ। এ থেকে রক্ষা পেতে সমপরিমাণ আদার রস, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে দুই বেলা দুই চামচ করে খেলে উপকার পাবেন। এসব খেতে ভালো না লাগলে লাল চায়ের সাথেও মিশিয়ে খেতে পারেন।

•  খেতে পারেন গোল্ডেন মিল্ক। হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিনকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারে দুধ ও গোলমরিচ। অন্য কোন কিছুর সাথে মিশিয়ে খেলে কারকিউমিন এতোটা শোষিত হয় না৷  ভালো না লাগলে কাঁচা হলুদ টুকরো খেয়ে নিন।

•  অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আঁধার হলো গরম মসলা। এগুলো দিয়ে লাল__চা করে পান করুন। সাথে পুদিনা, তুলশি পাতা ও মধু মেশালে মিলবে বাড়তি কিছু।

অস্বাস্থ্যকর খাবার নয়:বর্জন করুন সব ধরনের কার্বনেটেড ড্রিংকস, ভাঁজা-পোড়া, সিগারেট, জর্দা,__-তামাক, ঠান্ডা খাবার, আইসক্রিম, অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার, দুধ চা বা দুধ কফি ইত্যাদি।

লেখক : পুষ্টিবিদ, ল্যাবজোন স্পেশালাইজড হসপিটাল, সাভার, ঢাকা।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: