মাজহারুল ইসলাম মিথুন,::পাইকগাছায় গ্রামের পাঠশালাসহ শিক্ষার্থীদের বইখাতা পুড়িয়ে ভস্মীভূত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর পরিবারসহ স্থানীয়রা দোষীদের শান্তির দাবী করেছেন। বুধবার ভোর রাতে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের শ্রীকন্ঠপুর পাড়পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে।
শ্রীকন্ঠপুরের হায়দার গাজীর ছেলে শিক্ষত বেকার যুবক মোঃ জাহাঙ্গীর গাজী বলেন, ৭ বছর পুর্বে আমি স্থানীয় জমির মালিক আকরাম গাইনের জমিতে ঘর বেঁধে ভাড়া চুক্তিতে" উইং প্রাইভেট কর্নার" নামে একটি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে একাদশ শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় ৬০/৬৫ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার বিকেলে পড়াশুনা শেষে অনেক শিক্ষার্থীরা তাদের বই-খাতা রেখে বাড়িতে চলে যায়।
এরপর ঐদিন গভীর রাতে অগ্নিসংযোগে বই-খাতাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে সবকিছু ভস্মীভূত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এখন এ গৃহশিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর জায়গা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি মুদি দোকানের বারান্দায় পড়াশোনার স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এ সময় রাড়ুলী ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগ্নিসংযোগের তদন্ত করছিল।
জমির মালিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মী সরোয়ার হোসেনের পিতা আকরাম গাইন বলেন, আমি ক্রয় সুত্রে ২৪৪২ খতিযানের ১০৮৬,১০৮৭সহ কয়েকটি দাগে ৫ শতক জমির মালিক।
যা বর্তমান জরিপে আমার নামে রেকর্ডও হয়েছে। কিন্তু এ জমি পুর্বের মালিক প্রতিবেশি মৃতঃ ইমান গাজীর ছেলে কামরুল গাজীরা এ জমি ফিরিয়ে নিতে রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে। এ নিয়ে একটি সালিশী বোর্ড হলে উভয়ের মধ্যে বসাবসি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সালিশী বোর্ডের সদস্য মুজিবুর পাড় কুরবানী ঈদের পর সমাধা হবার কথা ছিল।
আকরাম গাইন অভিযোগ করেন এরই মধ্যে রাতে স্কুল ঘর বই-খাতা আগুনে পুড়িয়ে ক্ষয়ক্ষতি করে জাগয়া দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি এ ঘটনায় প্রতিবেশি কামরুল গাইন ও রহমান সানার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, আগ্নিসংযোগে গ্রামের পাঠশালাসহ শিক্ষার্থীদের বইপুস্তুক পুড়ে ক্ষয়ক্ষতির একটি অভিযোগ পেয়েছি। কি কারণে এ ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন তিনি।
0 coment rios: