Tuesday, 5 July 2022

নগদের মিথ্যা মামলা নিয়ে যা বললেন সিরাজগঞ্জ শপের সিইও ফেসবুক থেকে

প্রচ্ছদ নগদের মিথ্যা মামলা নিয়ে যা বললেন সিরাজগঞ্জ শপের সিইও ফেসবুক থেকে

নিউজ ডেস্কঃঃ  সিরাজগঞ্জ শপের সি.ই.ও নিজেকে নগদের মিথ্যা মামলার স্বীকার হিসেবে দাবি করে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন নগদ থেকে তাঁর উপর একটি ৪৭ কোটি টাকার প্রতারণা মামলা করা করা হয়েছে। 






যার কারণে সমাজের কাছে একজন প্রতারক, পরিবারের সদস্যদের হতে হয়েছে সমাজের কাছে লাঞ্ছিত। নীচে তাঁর ফেসবুক পোস্ট টি হুবুহু তুলে ধরা হলো আমি মোঃ জুয়েল রানা সিরাজগঞ্জ শপের সি.ই.ও। এস্ক্রো সিস্টেম আসার পরে যখন ডেলিভারি দিতে পারলাম না, সকল ই-কমার্সের প্রায় একই অবস্থা হয়ে দাড়ালো; তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাদের যে সকল কাষ্টমার পেমেন্ট করেছে পণ্যের বিপরীতে আমরা তাদের টাকা এস্ক্রো সিস্টেম অনুযায়ী তাদের একাউন্টে ফেরত দেবো। তখন বিভিন্নধরনের কু-প্রস্তাব আসা শুরু হলো এমনকি হত্যার হুমকি পর্যন্ত আসছিলো। 




 সকল কিছু উপেক্ষা করে নগদ গেটওয়ের মাধ্যমে ১২৩কোটি টাকা রিফান্ড করলাম সাথে ব্যাংক চেক, নগদ অর্থ সব কিছু মিলিয়ে ১৫৬ কোটি টাকা ৩দিনে রিফান্ড করলাম বাকি ছিলো প্রায় ৮-৯% রিফান্ড।

 যেটা আর রিফান্ড করতে পারলাম না কারণ নগদ থেকে আমার উপর একটা প্রতারণা মামলা করা হলো ৪৭ কোটি টাকার। বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল, প্রত্র-পত্রিকায় ঢালাওভাবে প্রচার করা হলো কোটি কোটি টাকা নিয়ে আমি লাপাত্তা। 



প্রথম আলোতে সংবাদের শিরোনাম হলো ৪৭কোটি টাকা ৩দিনে আত্মসাৎ এমন কিছু একটা এছাড়াও আরো কিছুই হয়েছে যা আপনার কম-বেশি দেখেছেন। কাষ্টমারের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য আমি সব সময় প্রস্তুত ছিলাম এবং সব সময় আছি কারণ, কারো টাকা আত্মসাৎ করার কোনো ইচ্ছা আমার অতীতেও ছিলো না, বর্তমানেও নেই, ভবিষ্যতেও হবে না, ইনশাআল্লাহ।


 ৩দিনে আমি ১৫৬ কোটি টাকা রিফান্ড দিয়ে দিয়েছি আরো কিছু সময় পেলে হয়তো সবার টাকাগুলো রিফান্ড করে দিয়ে দিতে পারতাম কিন্তু নগদের মিথ্যা মামলার কারণে আমার জীবনটাই প্রায় শেষ হয়ে গেলো। সমাজের কাছে হলাম আমি একজন প্রতারক, পরিবারের সদস্যদের হতে হয়েছে সমাজের কাছে লাঞ্ছিত। সম্পর্কিত পোস্ট মালো সম্প্রদায়হীন বাগেরহাটের মুনিগঞ্জ মালোপাড়া সোস্যাল ব্লেড ইউটিউব র্যাংকিং কি, কেন, কীভাবে? খাম্বা লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেব ঐকিক নিয়মেই দেশ চালাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও বিএনপি’র গা জ্বালা এর দায়ভার কে নেবে?


 এতোগুলো কাষ্টমারের, আমার দায়ভারটা কে নেবে? এর সাথে মিথ্যা মামলার কারণে আমার একাউন্ট থেকে ৮কোটি টাকা কেটে নেয়া হলো। হয়তো কথা অনুযায়ী ৭দিনের ভিতরে টাকাটা ফেরত দেবেন, কিন্তু ফেরত কি দিতে পারবেন আমার সেই আগের হারানো সন্মান? ফেরত কি দিতে পারবেন কাষ্টমারের সেই শ্রদ্ধা? দিতে পারবেন কাষ্টমারের এতোদিনের কষ্টের মূল্য? তাহলে এই দায়ভার কার? কেনো করলেন এমন? নগদ কর্তৃপক্ষের নিকট আমার এই প্রশ্ন। 

এর ক্ষতিপূরন আপনাদের দিতে হবে কারণ কাষ্টমাররা আমাকে আমার প্রতিষ্ঠানকে ভালোবেসে আমাকে ভালোবেসে টাকাটা দিয়েছে। যদি আপনারা এই মিথ্যা অভিযোগ না দিতেন তাহলে আজকে এই পরিস্থিতি হতো না। এই মিথ্যা মামলার অভিযোগে আমার সমস্ত ব্যাংক একাউন্ট+মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট গুলো ফ্রিজ করে দেয়া হলো। টাকার অভাবে সার্ভার ওপেন করতে পারছিলাম না। ৩টি ব্যাংকের এফডিআর সহ একাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়া হলো। 


বাবা মৃত্যু সজ্জায় কিডনিতে সমস্যা তাকে কোনো সাহায্য করতে পারছি না সমাজের কাছে হয়েছি প্রতারিত। এর দায়ভার আপনাদের নিতে হবে, অবশ্যই নিতে হবে। কিছু কাষ্টমারের ভাষা শুনে নিজেই কেঁদে ফেলি তারা মা-বাবা, স্ত্রী কে নিয়ে গালি দেয় তারপরও সবার সাথে আমি ছিলাম, সবার সাথে কথা বলেছি কারণ আমি জানতাম সত্য একদিন প্রকাশ পাবে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: