স্নেহেন্দু বিকাশ, খুলনার পাইকগাছায় প্রসাশনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চিংড়ি ঘেরের লবন পানি উত্তোলনে শত-শত বিঘার বোরো ধানের ক্ষেত সয়লাব করার অভিযোগ করেছেন কৃষকরা । উপজেলার গদাইপুর ইউপি'র হিতামপুরস্থ সরকারি স্লুইস গেট দিয়ে চরের বিলেএ ধানের ক্ষেতের ক্ষতিতে এলাকার কৃষকরা বিক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের এসআই ব্রজকিশোরসহ পাউবো কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ২২ মার্চ দুপুরে উপজেলা সমন্বয় কমিটি'তে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করে গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া কৃষকের পক্ষে চরের বিলে লবন পানি উত্তোলন বন্ধে ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে জোরালে বক্তব্য রাখলে ঔদবন রাতে ও বৃহস্পতিবার দুপুরেও পানি উত্তোলনের অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।
লবন পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রহমত আলী ও আলী বিশ্বাস জানান,হিতামপুর-চরের বিলে এ মৌসুমে ৬০ টি পরিবার ৩শ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত বীজ-সার,জন খরচ করে কৃষকের পিট ঠেকে গেছে। কৃষক রাজ্জাক,আবুল হোসেন ও নূর ইসলামের অভিযোগ শুরুতে প্রশাসন পোল্ডারে লবন পানি উত্তোলন বন্ধে মাইকিং করলে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ আমরা বোরো ধান রোপন করি। শুরুতে ধান ভালো ছিল। তবে মাঝপথে প্রভাবশালী চিংড়ি ঘের মালিকরা পাউবো'র সরকারি স্লুইস গেট দিয়ে জোয়ার দিয়ে পোল্ডারে লবন পানি তুললে ধানের ক্ষতির আশঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু চিংড়ি ঘের মালিকরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। সর্বশেষ ঘের মালিকরা আবারোও ধান ফুল মুখে স্লুইস গেট দিয়ে কপোতাক্ষ নদের জোয়ার তুলে গোটা ধান ক্ষেত এলকা লবন পানিতে সয়লাব করেছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে ছুটে এসে স্থানীয় চিংড়ি ঘের মালিক কমিটির সভাপতি আজিজুল হক আকুসহ সোহরাব গোলদার,হায়দার সরদার,মুক্তার সরদার,মতি মোড়লসহ অন্যান্য ঘের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এ সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরন সাধু বলেন,প্রধানমন্ত্রী ঘোষনামতে ফসল উৎপাদনে অন্য কৃষকদের মতো আমিও কয়েক বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। কিন্তু শেষ মুহুর্তে ধান ক্ষেতের চারিপাশ লবন পানিতে সয়লাব হয়েগেছে। এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ঘের মালিক আজিজুল হক আকু বলেন, এ বিলে আমি নিজেও ধান চাষ করেছি। ঘের কমিটি থেকে পদত্যাদের হুমকি দিয়ে তিনি আরোও বলেন, বার-বার ওদের পা ধরতে বাকি ছিল, ধান উঠে গেলে লবন পানি তোলার জন্য। কিন্তু কে কার কথা শোনে। এ বিষয়ে গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া জানান, কৃষকের ধানের ফসল রক্ষা করতে বাব-বার প্রশাসনকে অবহিত করেছি, কিন্তু আজ প্রভাবশালী ঘের মালিকের কাছে আমরা জিম্মি হযে গেলাম। কৃষকের ফসল রক্ষা করতে সব ধরনের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, যারা স্লুইস গেট দিয়ে লবন পানি তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
0 coment rios: