Tuesday, 30 November 2021

পাইকগাছায় চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলন



পাইকগাছায় চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলন#
 পাইকগাছায় চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলন


পাইকগাছায় ১০ ইউনিয়নে ও একটি পৌরসভায় চলতি আমন মৌসুমে কৃষি বিভাগের নির্ধারণকৃত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকয় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে বললেন কৃষকরা। ধান কাঁটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
ইতমধ্য পাইকগাছায় চলতি আমন মৌসুমে ১ হাজার ২৫ মেট্রিকটন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯৫২ মেট্রিকটন ধান এবং ৭৩ মেট্রিকটন চাল। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ধান এবং মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে এ চাল সংগ্রহ করা হবে। তাহলে প্রতি মন ধানের দাম নির্ধানরণ করা হয়েছে ১০৮০ টাক। ধান উৎপাদনে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে চেয়ে খরচ বেশি পড়ছে বলে জানিয়েছেন আনেক কৃষক। সে কারণে ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর আমন মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৭ হাজার ২২০ হেক্টর। কিন্তু উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় এ বছর আমন চাষ হয়েছে ১৭হাজার ২৫৩হেক্টর জমিতে। এখানে অতিরিক্ত ৩৩ হেক্টর জমিতে বেশি আমন চাষ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।
হরিঢালী ইউনিয়নে ৯৭৫ হেক্টর, কপিলমুনি ইউনিয়নে ৯৬০ হেক্টর, লতা ইউনিয়নে ১০০০ হেক্টর, দেলুটি ইউনিয়নে ৪১৫০ হেক্টর, সোলাদানা ইউনিয়নে ৯৭২ হেক্টর, লস্কর ইউনিয়নে ১২৬০ হেক্টর, গদাইপুর ইউনিয়নে ১২৯০ হেক্টর, রাড়ুলী ইউনিয়নে ১০৯০ হেক্টর, চাঁদখালী ইউনিয়নে ২২০০ হেক্টর, গড়ইখালী ইউনিয়নে ২৮৫৬ হেক্টর ও পৌরসভায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।
উপজেলার গদাইপুর, পুরাইকাটি, তকিয়ার অনেক কৃষক জানিয়েছেন সরকার ধানের ন্যায্য মুল্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান না কিনলে একদিকে কৃষকের লোকসান হবে অন্যদিকে সরকারের ধান চাল সংগ্রে বাঁধাগ্রস্থ হবে।
দেলুটি ইউনিয়নের নিশিত মজুমদার বলেন, এভাবে ধানের দাম কম থাকলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করে কিন্তু তাদের কষ্টের মূল্য কৃষকরা পাচ্ছেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবছর বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেইবল্লেই চলে সে কারণে ধানের ক্ষতি কম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় রোগবালাই কম হয়েছে। আর কিছু কিছু জাইগায় পানি সরবরাহের পথ বন্ধ থাকার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্ট হয়ে কিছু ধানের ক্ষতি হয়েছে। তার পরেও ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আগাম ধানের সকল রোগ সম্পর্কে কৃষকদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, আলোচনা সভা ও আলোক ফাঁদ প্রদর্শন কার্যক্রম করায় কৃষকরা সতর্ক হয়েছে। তিনি আরো বলেন প্রতি বছরের চেয়ে এবার আমন ধানের ফলন অনেক বেশি হয়েছ।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: