![]() |
ভোগান্তি কমাতে উপজেলা ভূমি অফিসেই খাজনা দেবে পৌরবাসী |
পাইকগাছা অফিস:পাইকগাছা পৌরবাসীকে খাজনা দিতে রাড়ুলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাওয়ার ফলে ভোগান্তির সীমা নেই। পৌরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন উপজেলা ভূমি অফিসে ভূমি উন্নয়ন কর দেবার ব্যবস্থা নেন। এখন থেকে উপজেলা ভূমি অফিসেই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারবেন পৌরসভার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার থেকে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উপজেলা ভূমি প্রশাসন। কোন ভোগান্তি ছাড়াই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন ও পৌরসভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর এর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পৌরবাসী।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারী উপজেলা সদরের আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত হয় জেলার প্রথম পৌরসভা। অর্থাৎ পৌরসভার প্রতিষ্ঠার পর কিছু কিছু সময়ে উপজেলা সদরে পৌর এলাকার ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করার ব্যবস্থা থাকলে ও সেটি ছিল সাময়িকী। উপজেলা সদরে কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে পৌরসভার নাগরিকদের ভূমি উন্নয়ন কর দিতে যেতে হতো উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়ন তফসিল অফিসে। এতে একদিকে যেমন যাতায়াত খরচ সহ অনেক বেশি সময় অপচয় হতো।
পাশাপাশি নানা ধরনের হয়রানি এবং ভোগান্তি হতো পৌরবাসীর। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অত্র উপজেলায় যোগদান করলে পৌরসভার পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির এই বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় প্রত্যেক বৃহস্পতিবার উপজেলা ভূমি অফিসেই ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছেন উপজেলা ভূমি অফিস । বিষয়টি মাইকিং করে এলাকায় প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করে পৌর কতৃপক্ষ। ফলে প্রথম দিনেই ভূমি উন্নয়ন কর দেন অসংখ্য মানুষ। ভোগান্তি ছাড়াই কর দিতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন ও পৌরসভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর এর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভবিষ্যতে স্থায়ী ভাবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন এলাকাবাসীর।
0 coment rios: